Petrol Vs EV Car: পেট্রোল নাকি ইভি? কোনটা বেশি ভাল? কেনার আগে জানা উচিৎ সবার

Petrol Vs EV Car: ইদানিং জ্বালানি চালিত গাড়ি এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির মধ্যে জোরদার প্রতিযোগিতা হচ্ছে। অনেকেই আজকাল এই ইভিকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। কিন্তু অনেকে আবার এই দুই ধরনের গাড়ির মধ্যে কোনটা কিনবেন তা বুঝে উঠতে পারেন না। সেই জন্যই দুটি প্রকারের গাড়ির সব রকম বৈশিষ্ট্য যাচাই করে নেওয়া অতি আবশ্যক।

Petrol Vs EV Car

জ্বালানী চালিত গাড়ি: জ্বালানি চালিত গাড়ি অর্থাৎ জ্বালানি তেল যেমন পেট্রোল, ডিজেলের সাহায্যে যে সকল গাড়ি চলাচল করে। এই ধরনের গাড়িগুলি জ্বালানি দহনের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে। এই শক্তির মাধ্যমে ট্রান্সমিশন সিস্টেমে চাকা ঘুরিয়ে গাড়ি চালানো হয়ে থাকে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি: এই ধরনের গাড়িগুলি বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করে চলাচল করে। এতে এক বা একাধিক ব্যাটারি প্যাক থাকে যেটিকে সম্পূর্ণরূপে চার্জ করে বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখা হয়। এই সঞ্চিত বিদ্যুৎকে যান্ত্রিক শক্তিতে পরিণত করে গাড়ির চাকা ঘোরানো হয় (Petrol Vs EV Car)।

মূল্য পার্থক্য: যেকোনো ধরনের গাড়ি কিনতে গেলে গ্রাহকরা সবার আগে দামের কথা চিন্তা করেন। সেক্ষেত্রে এই দুই ধরনের গাড়ির মূল্যের পার্থক্য করা খুবই প্রয়োজনীয়। ক্রয় মূল্যের ক্ষেত্রে পেট্রোল বা ডিজেল চালিত গাড়ির থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম অনেক বেশি। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে জ্বালানি চালিত গাড়িতে খরচা বহুগুণ বেশি। কারণ বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, ইভির ব্যাটারি চার্জ করার ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটে আনুমানিক ৬ টাকা খরচ হয় (Petrol Vs EV Car)।

Read More: E-Amrit Scheme: ইভি কিনতে পাবেন ভাল টাকা! সরকার দেবে এই সুযোগ? জানুন

অতিক্রান্ত দূরত্ব: বৈদ্যুতিক গাড়ির তুলনায় পেট্রোল চালিত যানবাহনগুলি অতিরিক্ত দূরত্ব অতিক্রম করে। বড় বড় শহরে চার্জিং স্টেশনের তুলনায় পেট্রোল পাম্পের সংখ্যা খুবই বেশি। তাই পেট্রোল গাড়ির ক্ষেত্রে বহুবার তেল ভরার বিকল্প চালকদের কাছে থাকে।

জ্বালানি পূর্ণকরন এবং চার্জিং পদ্ধতি: জ্বালানি চালিত গাড়িগুলির ক্ষেত্রে যেকোনো পেট্রোল পাম্পে গিয়ে তেল ভরতে পারেন চালকরা। অন্যদিকে বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে চালকদের কাছের চার্জিং স্টেশনে কিংবা নিজের বাড়িতে চার্জিং সিস্টেম তৈরি করে চার্জ করতে হয়। পেট্রোল গাড়ির ক্ষেত্রে তেল ভরতে খুবই অল্প সময় লাগে। কিন্তু একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি সম্পূর্ণরূপে চার্জ হতে প্রায় ১০ ঘন্টা সময় নেয়।

বীমা খরচ: প্রায় প্রত্যেকে নিজেদের গাড়ির জন্য বীমা করিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে পেট্রোল চালিত গাড়ির তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ির বীমা খরচ অত্যন্ত বেশি।

ভর্তুকি ব্যবস্থা: এই দিক থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি অনেক সুবিধাজনক। কারণ সরকারে এই ধরনের গাড়ি কেনার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভর্তুকি ব্যবস্থা উপলব্ধ আছে। অন্যদিক পেট্রোল গাড়ির জন্য সরকার থেকে কোনরকম ভর্তুকি প্রদান করা হয় না।

পরিবেশগত ব্যবস্থা বিষয়: জ্বালানি গাড়িগুলির ক্ষেত্রে জ্বালানি দহনের সময় ক্ষতিকারক কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গত হওয়ার জন্য পরিবেশ দূষিত হয়ে থাকে। অপরদিকে বৈদ্যুতিক গাড়ি থেকে ক্ষতিকারক গ্যাস নির্গত না হলেও ব্যাটারির নিষ্পত্তি ঘটলে পরিবেশ দূষিত হয়।

এরকমই আরো বহু পার্থক্য বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং জ্বালানি চালিত গাড়ির মধ্যে চিহ্নিত করা যেতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে জ্বালানি চালিত গাড়ি ভালো হলে কোনো ক্ষেত্রে ইভি ভালো। তাই আপনারা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের পছন্দ মত গাড়ি নির্বাচন করতে পারেন।

About Author

Leave a Comment