Gensol EV: পেট্রোল চালিত গাড়ি থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ কম খরচে চলবে এই বৈদ্যুতিক গাড়ি

Gensol EV: চলতি বছরের গত মাসে দিল্লিতে আয়োজিত ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো ২০২৫-এ জেনসোল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বারা নির্মিত নতুন জেনসোল ইভি (Gensol EV) ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কোম্পানি এই অনুষ্ঠানে তাদের মাইক্রো আরবান মোবিলিটি কমপ্যাক্ট ইলেকট্রিক ভেহিকেল ইজিও (EZIO) এবং লাস্ট-মাইল ডেলিভারি কার্গো ইলেকট্রিক ভেহিকেল ইজিবট (EZIBOT)-এর প্রদর্শনী করেছে। কোম্পানি ইতিমধ্যেই এই দুটি গাড়ির জন্য মোট ৩০ হাজার অর্ডার গ্রহণ করেছে। জেনসোলের এই সাফল্য নির্দিষ্ট শহুরে প্রয়োজনীয়তা পূরণ এবং ভারতে বিশ্বমানের পণ্য বিকাশের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।

Gensol EV

এই গাড়ির পাওয়ারট্রেন সম্পর্কিত বিশদ তথ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে নির্মাতারা দাবি করেছেন, ইজিও মডেলটি ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ চার্জপূর্ণ হতে সক্ষম এবং একক চার্জে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে। সেই সাথে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতি প্রদান করবে এই গাড়ি। প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ পয়সা খরচে এই গাড়ি চালানো যেতে পারে। এই খরচের পরিমাণ একটি পেট্রোল গাড়ির তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ কম। অর্থাৎ জেনসোল কোম্পানির এই পদক্ষেপ খুবই স্বল্প খরচে পরিবেশ বান্ধব এবং আরামদায়ক পরিবহন প্রদান করে।

জানা গিয়েছে, জেনসোল ইভি প্রিমিয়াম কেবিন অভিজ্ঞতা প্রদান করবে গ্রাহকদের। এটি একটি ২-দরজা, ২-আসনের তিন-চাকার গাড়ি যা শহুরে ব্যস্ত অঞ্চলে চালানোর জন্য তৈরি হয়েছে। জেনসোল ইভিতে কোম্পানি সিঙ্গেল-পেন সানরুফ, একটি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, একটি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, এলইডি ডিআরএল এবং বিশেষভাবে তৈরি চাকাও প্রদান করেছে। এছাড়াও ইন-কেবিন ড্রাইভার সহায়তা প্রযুক্তি, এআই-ভিত্তিক ক্লাউড বিশ্লেষণ এবং এয়ার কন্ডিশনিং প্রযুক্তিও বিদ্যমান।

এই প্রসঙ্গে জেনসোল ইভি-র সিইও প্রতীক গুপ্তা জানিয়েছেন, “পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী গতিশীলতার ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য, ইজিও-কে নগর পরিবহনে নেতৃত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যে ডিজাইন করা হয়েছে। এর অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য, যার মধ্যে রয়েছে কমপ্যাক্ট ডিজাইন, উচ্চতর পরিসর এবং সাশ্রয়ী মূল্য, বিশেষ করে ফ্লিট অপারেটরদের চাহিদা পূরণ করে। ইজিও এবং ইজিবট-এর জন্য বিদ্যমান ফ্লিট অপারেটরদের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই ৩০,০০০ প্রি-অর্ডার প্রাপ্তির সাথে, আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি বাজারের আস্থা দেখে রোমাঞ্চিত। পুনের চাকানে আমাদের অত্যাধুনিক সুবিধায় উৎপাদন শুরু করার পাশাপাশি বেঙ্গালুরু এবং দিল্লির মতো নগর বাজারে চালু করার প্রস্তুতি নেওয়ার সাথে সাথে, আমরা ভারতের স্মার্ট, সবুজ গতিশীলতা সমাধানের দিকে রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য রাখি।”

About Author

Leave a Comment