E20: হোন্ডা তাদের সম্পূর্ণ লাইন-আপের জন্য ই২০ সম্মতি অর্জন করেছে

E20: সম্প্রতি, হোন্ডা কোম্পানি ভারতে তাদের সকল গাড়ির জন্য ই২০ (E20) জ্বালানি সম্মতি অর্জন করেছে। এটি দেশের প্রথম অটোমেকার কোম্পানি যেটি তাদের সম্পূর্ণ লাইন-আপকে ই২০ সম্মতিতে তৈরি করেছে। এই গাড়িগুলির মধ্যে রয়েছে হোন্ডা সিটি, হোন্ডা সিটি হাইব্রিড, এলিভেট এবং আমেজ। উল্লেখ্য, ভারত সরকার ১লা এপ্রিল, ২০২৫ সাল থেকে প্রতিটি আইসিই সংস্করণের জন্য ই২০ সম্মতি বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। হোন্ডা কোম্পানি এই সময়সীমার আগেই সরকারের থেকে শংসাপত্র অর্জন করেছে।

সরকার দ্বারা নির্মিত এই নিয়মের জন্য বহু পুরনো গাড়ির মালিকরা বেশ দুশ্চিন্তায় পরেছেন। এই বিশেষ ধরনের জ্বালানি তাদের গাড়িতে ব্যবহৃত হতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন। তবে এক্ষেত্রে হোন্ডা গাড়ির মালিকদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। কোম্পানির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১লা জানুয়ারি, ২০০৯ সাল থেকে তৈরি হওয়া সকল চার-চাকা যানবাহন ই২০ জ্বালানির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই সকল গাড়ির মালিকরা কোনোরকম পরিবর্তন ছাড়াই তাদের গাড়িতে পরিবেশবান্ধব ই২০ জ্বালানি ব্যবহার করতে পারবেন।

Read More: Kia Seltos: আবারও প্রকাশ্যে এলো নতুন প্রজন্মের কিয়া সেলটোসের ঝলক

এই সম্মতি অর্জন সম্পর্কে হোন্ডা কারস ইন্ডিয়া লিমিটেডের মার্কেটিং এবং সেলস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট কুণাল বহল জানিয়েছেন, “হোন্ডা কারস ইন্ডিয়াতে, আমরা টেকসই গতিশীলতা সমাধান পরিচালনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের সমস্ত গাড়ি ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ই২০ উপাদানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা আমাদের গ্রাহকদের কোনও পরিবর্তন ছাড়াই আরও পরিবেশবান্ধব ই২০ জ্বালানি গ্রহণ করতে সক্ষম করে। প্যান ইন্ডিয়া ই২০ জ্বালানি প্রবর্তনের আগে আমাদের সমস্ত বর্তমান মডেলের জন্য সর্বশেষ সম্মতি শংসাপত্র ভারত সরকারের আরও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি বাস্তবায়নের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভারত যখন একটি পরিষ্কার এবং আরও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন হোন্ডা কারস ইন্ডিয়া লিমিটেড অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।”

এই ই২০ জ্বালানি হলো এক ধরনের মিশ্রণ যা ২০ শতাংশ নির্জল ইথানল এবং ৮০ শতাংশ পেট্রোল দ্বারা নির্মিত। পেট্রোলের তুলনায় ইথানলের দহন পরিষ্কার তাই এর থেকে ক্ষতিকারক নির্গমনের পরিমাণ কম। ইথানল সাধারণত আখ, ধানের তুষ এবং ভুট্টা থেকে চিনির প্রক্রিয়াকরণের সময় তৈরি হওয়া একটি উপজাত উপাদান। কিন্তু অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো ইঞ্জিনে এই জ্বালানি ব্যবহৃত হলে ইঞ্জিনের ভিতরে অতিরিক্ত ক্ষতি হতে পারে। এর ফলে ইঞ্জিনের স্থায়িত্ব নষ্ট হয়। ইঞ্জিনের রাবার, প্লাস্টিক এবং নরম ধাতু দিয়ে তৈরি উপাদানগুলিতে পচন ধরতে পারে। তাই এই জ্বালানি ব্যবহারের আগে অন্যান্য গাড়ির মালিকদের গাড়ির সামঞ্জস্যতা বিচার করা অত্যাবশ্যক।

About Author

Leave a Comment