Hyundi Venue: নতুন গাড়ি চালকরা তাদের প্রথম গাড়ি কেনার জন্য খুবই চিন্তিত হয়ে থাকে। কোন ধরনের গাড়ি কেনা উচিত কি কি সুবিধা থাকা জরুরি এই নিয়ে খুবই দ্বিধায় থাকেন তারা। বাজারে বহু প্রবেশ-স্তরের গাড়ি উপলব্ধ আছে, যা এই সকল গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করে। এক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গাড়ির মূল্য। প্রথম গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে অনেকেই সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ি নির্বাচন করেন। এরকমই সাশ্রয়ী মূল্যের প্রবেশ-স্তরের দুটি গাড়ি হলো হুন্ডাই ভেন্যু এবং সিট্রোয়েন সি৩। আজকের প্রতিবেদনে এই দুটি গাড়ির মধ্যে কোনটি প্রথম চালকদের জন্য যথাযথ তা বর্ণনা করা হবে।
হুন্ডাই ভেন্যু (Hyundi Venue):
হুন্ডাই ভেন্যুর ম্যানুয়াল বেস মডেল হলো ভেন্যু ই যা একটি ৫ আসনের পেট্রোল গাড়ি। এই গাড়িতে আছে মাল্টি-ফাংশন স্টিয়ারিং হুইল, অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম, পাওয়ার উইন্ডোজ ফ্রন্ট, হুইল কভার। এই গাড়িতে ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন যুক্ত ১১৯৭ সিসির ইঞ্জিন আছে যেটি ৬০০০ আরপিএম-এ ৮২ বিএইচপি শক্তি এবং ৪০০০ আরপিএম-এ ১১৩.৮ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। ১.২ লিটার কাপ্পা পেট্রোল গাড়িটি প্রতি লিটার পেট্রোলে ২০.৩৬ কিমি সার্টিফাইড মাইলেজ প্রদান করে। কলকাতায় হুন্ডাই ভেন্যু ই-এর এক্স-শোরুম মূল্য ৭,৯৪,১০০ টাকা। আরটিও, বীমা এবং অন্যান্য খরচ সহ এর অন-রোড মূল্য ৮,৯২,৮৬২ টাকা।
Read More: Volkswagen: ভক্সওয়াগেন তাদের সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের বৈদ্যুতিক গাড়ির টিজার প্রকাশ করেছে
সিট্রোয়েন সি৩ (Citroen C3):
এই গাড়ির বেস মডেল সিট্রোয়েন সি৩ পিওরটেক ৮২ লাইভ-এ ১.২ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে। গাড়িটি ১১৯৮ সিসি ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত এবং ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন যুক্ত। এই ইঞ্জিনের সাহায্যে ৫৭৫০ আরপিএম-এ ৮০.৪৬ বিএইচপি শক্তি এবং ৩৭৫০ আরপিএম-এ ১১৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। প্রতি লিটার পেট্রোল থেকে ১৯.৩ কিমি সার্টিফাইড মাইলেজ পাওয়া যায়। এটিও একটি ৫ আসনের পেট্রোল গাড়ি যাতে অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম, পাওয়ার উইন্ডোজ ফ্রন্ট, হুইল কভার, যাত্রীবাহী এয়ারব্যাগ, ড্রাইভার এয়ারব্যাগ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই গাড়ির এক্স-শোরুম মূল্য ৬,১৬,০০০ টাকা এবং কলকাতায় অন-রোড মূল্য ৬,৮৫,৩০৫ টাকা।
নতুন গাড়ি চালকদের ভালো দৃশ্যমানতা, উচ্চ আসনের অবস্থান, ভালো প্রতিক্রিয়াশীল এবং সহজে গাড়ি রাখা এই বিষয়গুলির কথা মাথায় রাখা উচিত। তাই হুন্ডাই ভেন্যু এইক্ষেত্রে সকল দিক থেকে যোগ্য। সেইসাথে রয়েছে দুর্দান্ত বিক্রয়োত্তর পরিষেবা। অন্যদিকে সিট্রোয়েন সি৩-ও দুর্দান্ত ইঞ্জিন, সহজ ব্যবহারিতা এবং মসৃণ সত্তয়ারির সাথে ভালো বিকল্প। তবে এর সমস্যা হলো অসুসজ্জিত অভ্যন্তর এবং দুর্বল ডিলার নেটওয়ার্ক।