Mahindra BE6 VS Hyundai Creta EV কোনটি সবচেয়ে ভালো?

Mahindra BE6 VS Hyundai Creta: বর্তমানে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতি নির্মাতা এবং গ্রাহক উভয়ের আগ্রহ বহু গুণ বেড়েছে। ফলস্বরূপ গত বছরে বহু নতুন ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে লঞ্চ করা হয়েছে। আবার বেশ কিছু বৈদ্যুতিক যান শীঘ্রই বাজারে লঞ্চ হবে। চারিদিকে এত বিকল্পের মাঝে গ্রাহকরা কোনটি ছেড়ে কোনটি বেছে নেবেন তা নিয়ে খুবই দোটানায় পড়েন। এমনই দুটি গাড়ি হল Mahindra BE 6 এবং Hyundai Creta EV।

Read More: Tata Car Update 2025: মারুতিকে টেক্কা, মাত্র 5 লাখেই চার চাকা! নতুন গাড়ি লঞ্চ টাটা মোটরসের

Mahindra BE6 VS Hyundai Creta

Mahindra BE 6

ব্যাটারি প্যাক:
এটি 59 কিলোওয়াট আওয়ার এবং 79 কিলোওয়াট আওয়ারের দুটি ব্যাটারি প্যাকের সাথে উপলব্ধ। একটি 175 কিলোওয়াট আওয়ার চার্জারের মাধ্যমে ব্যাটারিটি 20 মিনিটে 20 থেকে 80 শতাংশ চার্জপূর্ণ হয়। ব্যাটারিটি সর্বোচ্চ 281 বিএইচপি শক্তি এবং 280 এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। গাড়িটি পূর্ণ চার্জে 682 কিলোমিটার রেঞ্জ প্রদান করে। পাশাপাশি 0 থেকে 100 কিমি গতি তুলতে মাত্র 6.7 সেকেন্ড সময় নেয় এই ইভি (Mahindra BE6 VS Hyundai Creta)।

বৈশিষ্ট্য:
গাড়িতে বহু আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন, 12.3-ইঞ্চি ডুয়াল ইন্টিগ্রেটেড স্ক্রিন সেটআপ যার একটি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমের জন্য এবং অন্যটি ড্রাইভারের ডিসপ্লের জন্য, ওয়্যারলেস মোবাইল চার্জিং, স্বয়ংক্রিয় জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, ড্রাইভ মোড, প্যানোরামিক সানরুফ, 1400 ওয়াটের 16-স্পীকার হারমান কার্ডন-সোর্স মিউজিক সিস্টেম এবং ওটিএ আপডেট।

নিরাপত্তা:
যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য মহিন্দ্রা এই গাড়িতে লেভেল 2 অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্টেন্স সিস্টেমস যেমন অ্যাডাপ্টিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, লেন কিপ অ্যাসিস্ট, সামনের সংঘর্ষের সতর্কতা ইত্যাদি নিরাপত্তা জনিত ব্যবস্থা রেখেছে। সেইসাথে আছে একটি ইলেকট্রনিক স্ট্যাবিলিটি প্রোগ্রাম, টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম এবং 7টি এয়ারব্যাগ। গ্লোবাল NCAP-এর তরফে এই গাড়ি 5 স্টার রেটিং পেয়েছে (Mahindra BE6 VS Hyundai Creta)।

মূল্য:
এই গাড়ির বেস মডেল BE 6 প্যাক ওয়ান-এর এক্স-শোরুম মূল্য 18.90 লক্ষ টাকা। BE 6 প্যাক থ্রি 79 কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারিযুক্ত গাড়ির মূল্য 26.90 লক্ষ টাকা।

Hyundai Creta EV

ব্যাটারি প্যাক:
এই গাড়ির বেস মডেলটিতে 42 কিলোওয়াট আওয়ারের ব্যাটারি প্যাক রয়েছে যেটি 135 পিএস শক্তি প্রদান করে। এই গাড়ির সর্বোচ্চ রেঞ্জ 390 কিলোমিটার। অন্যদিকে উচ্চ রেঞ্জের গাড়ির ক্ষেত্রে 171পিএস শক্তি প্রদানকারী 51.4 কিলোওয়াট আওয়ারের ব্যাটারি প্যাক পেয়ে যাবেন গ্রাহকরা। এটি 473 কিলোমিটারের রেঞ্জ দিয়ে থাকবে। একটি ডিসি চার্জারের সাহায্যে ব্যাটারিটি 58 মিনিটে 20 থেকে 80 শতাংশ চার্জপূর্ণ হয়। আবার 11 কিলোওয়াট এসি চার্জার দ্বারা গাড়িটি 4 ঘণ্টায় 10 থেকে 100 শতাংশ পর্যন্ত চার্জপূর্ণ হতে পারে। মাত্র 7.9 সেকেন্ডে এই গাড়ি 0 থেকে 100 কিলোমিটার গতি তুলতে পারবে (Mahindra BE6 VS Hyundai Creta)।

বৈশিষ্ট্য:
গাড়িটিতে উপস্থিত বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে দ্বৈত 10.25-ইঞ্চি ডিজিটাল ডিসপ্লে, ওয়্যারলেস মোবাইল চার্জিং, প্যানোরামিক সানরুফ, ডুয়েল জোন অটো এসি, একটি 8 স্পিকার বোস সাউন্ড সিস্টেম, ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সীটস, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিং। সেইসাথে আছে একটি ডিজিটাল চাবি , ড্রাইভার চালিত আসনের জন্য মেমরি ফাংশন, বস মোড সহ 8-ওয়ে চালিত কো-ড্রাইভার সিট।

নিরাপত্তা:
সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোম্পানি এই গাড়িতে 6টি এয়ারব্যাগ, হিল স্টার্ট অ্যাসিস্ট, একটি ব্লাইন্ড স্পট মনিটরযুক্ত 360 ডিগ্রির ক্যামেরা, সামনে এবং পিছনের পার্কিং সেন্সর, ইলেকট্রনিক স্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ এবং একটি টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম প্রদান করেছে। এতেও একটি লেভেল 2 অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম রয়েছে (Mahindra BE6 VS Hyundai Creta)।

মূল্য:
এই গাড়ির সঠিক দাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে এর আনুমানিক প্রারম্ভিক মূল্য 17 লক্ষ টাকা হতে পারে। পাশাপাশি এই গাড়ির সেরা মডেলের মূল্য 22.15 লক্ষ টাকা আশা করা হচ্ছে।

Mahindra BE 6-এর কেবল কয়েকটি বিকল্পই লঞ্চ হয়েছে। এখনও বেশ কিছু মডেল বাজারে আসা বাকি। তা সত্ত্বেও এটি গ্রাহকদের মনে অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছে। অপরপক্ষে Hyundai Creta EV 17ই জানুয়ারি লঞ্চ হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বলা বাহুল্য, দুটি গাড়িই একে অপরকে জোরদার টক্কর দেবে। কিন্তু মূল বিষয় হলো গ্রাহকরা নিজেদের চাহিদা ও দামের ওপর নির্ভর করে সঠিক গাড়ি বেছে নিলেন কি না।

About Author

Leave a Comment