Tata Nano EV: ভারতীয় অটোমোবাইল কোম্পানি টাটা মোটরসের সবচেয়ে চর্চিত আবিষ্কার হলো টাটা ন্যানো (Tata Nano)। ২০০৮ সালে প্রথম এই গাড়িটি মার্কেটে আনা হয়েছিল। প্রথম দিন থেকেই এই গাড়ি নিরাপত্তা জনিত কারণে বহু প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এসেছে। তবে টাটা ন্যানো এইবার এই গাড়ির ইলেকট্রিক ভ্যারিয়েন্টের মাধ্যমে আবারও প্রত্যাবর্তন করতে চলেছে। জানা গিয়েছে এই গাড়ি মূল্য, পাওয়ারট্রেন এবং বৈশিষ্ট্য সব দিক থেকে অন্যান্য বৈদ্যুতিক গাড়িগুলিকে কঠোর প্রতিযোগিতা দেবে।
Tata Nano EV
বৈদ্যুতিক পাওয়ারট্রেন এবং ব্যাটারি: কোম্পানি এই গাড়ির মধ্যে একটি অত্যাধুনিক পাওয়ারট্রেন নিবেশ করবে যেটি গাড়িকে দক্ষতার সাথে চালিত করবে (Tata Nano EV)। গাড়িটির মধ্যে একটি শক্তিশালী বৈদ্যুতিক মোটর উপস্থিত থাকবে যা মসৃণ চলন, তাৎক্ষণিক টর্ক এবং প্রতিক্রিয়াশীল ত্বরণ প্রদান করবে। টাটা মোটরস এই ইলেকট্রিক গাড়িতে উন্নত প্রযুক্তি এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি প্রদান করবে যা একটি সম্পূর্ণ চার্জে বহু দূর পর্যন্ত পথ অতিক্রম করবে। সেইসাথে গাড়িতে একটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাক থাকতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। গাড়িতে দ্রুত চার্জিং ব্যবস্থা থাকবে এবং ঘন ঘন চার্জ করার প্রয়োজন থাকবে না ফলে এই গাড়িকে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
Read More: Hybrid Car Benefits: বর্তমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে হাইব্রিড গাড়ির চাহিদা, কি এই হাইব্রিড গাড়ি?
বৈশিষ্ট্য: টাটা ন্যানো ইভির মধ্যে বিভিন্ন অত্যাধুনিক এবং আরামদায়ক সুবিধা যুক্ত বৈশিষ্ট্য কোম্পানি প্রদান করেছে। গাড়ির অভ্যন্তরে সামনে এবং পিছনে যাত্রীদের জন্য অনেকটা লেগ রুম এবং হেড রুমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে (Tata Nano EV)। এই গাড়িতে টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে সহ উন্নত ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম থাকবে যেটি গাড়ির সেটিংস, নেভিগেশন এবং বিনোদনের অ্যাক্সেস প্রদান করবে। অ্যাপল কারপ্লে এবং অটো অ্যান্ড্রয়েডসহ স্মার্ট ফোন সংযোগ, স্টিয়ারিং মাউন্টেড কন্ট্রোল, প্রিমিয়াম সাউন্ড সিস্টেম, জলবায়ু নিয়ন্ত্রক এবং ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার ইত্যাদি বিকল্প থাকবে। ক্রেতারা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী এই ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টারকে কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে ন্যানো ইভির মধ্যে চাবি-হীন প্রবেশ, পুশ-বাটন স্টার্ট, ওয়্যারলেস চার্জিং এবং ভয়েস রিকগনিশন বিকল্পগুলি থাকছে। সেই সাথে কোম্পানি টেলিমেটিক্স ব্যবস্থা গাড়িটির মধ্যে প্রদান করতে পারে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের গাড়ির অবস্থান চিহ্নিত করতে এবং কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবেন। সেই সাথে নিজেদের অত্যাধুনিক মোবাইলের মাধ্যমে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য গ্রহণ করতে পারবেন।
নিরাপত্তা: টাটা মোটরস কোম্পানি (Tata Nano EV) নিরাপত্তার জন্য গ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। ন্যানো ইভির মধ্যে একাধিক নিরাপত্তা জনিত বৈশিষ্ট্য থাকবে বলে জানা গিয়েছে। একাধিক এয়ার ব্যাগ, অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম, ইলেকট্রনিক্স স্টেবিলিটি কন্ট্রোল, রিয়ার পার্কিং সেন্সর এবং ক্যামেরার মতো বহু নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য গাড়িতে থাকবে। গ্রাহকদের সর্বশ্রেষ্ঠ মানের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য এই গাড়ি কঠোর ক্র্যাশ পরীক্ষার সম্মুখীন হবে।
টাটা ন্যানো ইভি নিঃসন্দেহে বাজারে উপলব্ধ বিভিন্ন ইলেকট্রিক গাড়ি যেমন মাহিন্দ্রা ই ভেরিটো, টাটা নেক্সন ইভি ইত্যাদির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ন্যানো ইভির দাম সম্পর্কে কোম্পানি এখনো কোনো বার্তা প্রকাশ করেনি। তবে দামের দিক থেকে বিভিন্ন গাড়িকে কঠোর প্রতিযোগিতা দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যযুক্ত বেস মডেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি এবং বিলাসবহুল বৈশিষ্ট্যযুক্ত নানান ভ্যারিয়েন্ট বিকল্প গ্রাহকরা পেয়ে যাবেন। ক্রেতারা তাদের পছন্দ এবং চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের উপযোগী টাটা ন্যানো ইভি বেছে নিতে পারবেন (Tata Nano EV)।